ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি ? ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান

ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি ? ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান

পোস্ট এর সূচিপত্রঃ

১।ফ্রিল্যান্সিং কি?
২।ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি ?
৩।ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান
৪।আউটসোর্সিং কি
৫।ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন কাজ ও কাজের পরিচিতি

ফ্রিল্যান্সিং কি?

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হল স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অর্থাৎ কেউ যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ অথবা বিদেশের কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে অস্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থের বিনিময়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ করে, তবে তাকে ফিল্যান্সিং বলে। এ ধরনের পেশাজীবীকে ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীন পেশাজীবী বলে। এরা স্বনির্ভর (Self-employed)। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের উপর খুব বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হয়ে থাকে। এরা শর্ত বা চুক্তির উপর নির্ভর করে কাজ করে। তাই তাদের মাসিক আয়ও নির্দিষ্ট নয়। কাজ পাওয়া বা না পাওয়ার উপর নির্ভর করে মাসিক আয় কম বেশি হতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার ও কি কি ?

    ১. কপিরাইটিং ও ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং
    ২. কোডিং, প্রোগ্রামিং, ডেভেলপিং
    ৩. গ্রাফিক ডিজানিং
    ৪. ভার্চুয়াল অ্যাসিসটিং
    ৫. মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
    ৬. বুক কিপিং
    ৭. ব্র্যান্ডিং ও পি. আর
    ৮. এসইও প্রফেশনাল
    ৯. এইচ.আর ম্যানেজমেন্ট
   ১০. ক্যাড ও 3D মডেলিং
   ১১. ট্রান্সলেশন
   ১২. সোশ্যাল মিডিয়া স্পেশালিস্ট

ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান

বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বৈশ্বিক ডিজিটালাইজেশন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবাদে দেশ দ্রুত এগিয়ে গেলেও চাকরির বাজারের অবস্থা বেশ নাজুক। দেশের প্রায় ৪৭ শতাংশ উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বেকার। চাকরির অপর্যাপ্ততা; বিকল্প কর্মসংস্থানের অভাব সহ নানা কারণে দেশে বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে দেশে বেকারত্ব দূরীকরণসহ বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠছে এখন বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এ খাতে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, যাদের মাধ্যমে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৫০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ভাষ্যমতে, ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতের আয় ২ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এছাড়া অন্যান্য আইটি সেক্টর মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বছরে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছে। ২০১১ সালে দেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার সালে তা বেড়ে ৩০ হাজারে দাঁড়ায়। ডিজিটালাইজেশন প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ২০১৭ সালে তা ৫ লাখে দাড়ায়। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইটি খাতে ৩ (ওআইআই) তথ্য অনুযায়ী, অনলাইন শ্রমিক সরবরাহে বাংলাদেশ হয়ে উঠেছে লাখের বেশি পেশাজীবী কাজ করছে। অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ দেশ। অনলাইন ফ্রিল্যান্স শ্রমিক সরবরাহে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ভারত। বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সার শ্রমিকের ২৪ শতাংশই ভারতের, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার বিশ্বের ১৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যান্সার ১২ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্বের টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের ৬৪ শতাংশই বাংলাদেশের। একেক দেশ একেক ধরনের আউটসোর্সিং কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে। যেমন ভারতের ফ্রিল্যান্সাররা প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে বেশি কাজ করছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ সেবায় এগিয়ে।

আউটসোর্সিং কি

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যখন তাদের কাজগুলো দেশ বা বিদেশের বিশেষ কোন দক্ষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ থার্ড পার্টির মাধ্যমে করিয়ে নেয় তখন তাকে আউটসোর্সিং (Outsourcing) বলে। Outsourcing শব্দটি ইংরেজি Out Resourcing শব্দ থেকে এসেছে। Out - বাইরের, Sourcing উৎস। উদাহরণস্বরূপ, ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি তাদের কোম্পানির প্রচারের জন্য একটি ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট এসইও, একটি ইউনিক লগো, ফ্লায়ার, বিজনেস কার্ড, রোল-আপ ব্যানার কিংবা প্রোডাক্ট মার্কেটিং ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ল । এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বা সদস্যদের এসব কাজে সময় স্বল্পতা, কাজে অনভিজ্ঞতা কিংবা আদৌও না জানার ফলে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্য বা সাপোর্ট আবশ্যক হয়ে পড়ে। কারণ এসব কাজ অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ও প্রফেশনাল মানের হওয়া চাই। সেক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দেশ বা বিদেশের বিশেষ কোন দক্ষ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট চুক্তি ও অর্থের বিনিময়ে কাজগুলো করিয়ে নেয়। এটাই হলো আউটসোর্সিং। মূল কথা হল, যারা কাজ করিয়ে নেয় তারা হল আউটসোর্সার, আর যারা কাজ করে দেয় তারা হল
ফ্রিল্যান্সার। উন্নতবিশ্বের দেশগুলোর মানুষের চাহিদা ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে বেশ কিছু আউটসোর্সিং ক্যাটাগরির কাজ:

1.Web Design & Development
2.Android Apps Development Graphic Design
3.Web Content Writing
4.Video & Animation
5.Search Engine Optimization Link Building
6.Online Marketing
7.Virtual Assistance
8.Databases-Data Processing

অনলাইন ইনকাম ২০২৩

আমরা প্রায়ই একটা বিষয় ঘোলাটে করে ফেলি। সেটা হল কোনটা ফ্রিল্যান্সিং, কোনটা আউটসোর্সিং আর কোনটা অনলাইন ইনকাম সেটা ঠিক মত বুঝি না। যেমন, আপনার অনেক বন্ধু ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা ইনস্টাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়াতে কাজ করে ইনকাম করে, তখন সেটা শুধু অনলাইন ইনকাম। সেটা ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং কোনটাতে পড়ে না ৷

ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন কাজ ও কাজের পরিচিতি

Web Design & Development: আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকি। এদের মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার। মাঝে মধ্যে নিজেদের মনে প্রশ্ন জাগে, এসব ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে? কিভাবে এসব ওয়েবসাইট কাজ করে? এসব ওয়েবসাইট মূলত তিনটি ভাগে কাজ করে থাকে। যেমন: ডিজাইন, কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং ডাটাবেস । ওয়েব ডিজাইন মানে হল একটি ওয়েবসাইট এর ইন্টারফেস কেমন হবে, দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারণ রূপ নির্ধারণ করা। সহজ কথায়, একটি ওয়েবসাইটের উপরের অংশে বা টাইটেলে কি থাকবে, হেডার, মেনুবার, ইমেজ এবং অন্যান্য তথ্যগুলো কিভাবে ভিজিটরের কাছে প্রদর্শিত হবে তাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন যা মূলত ওয়েব ডিজাইনাররা করে থাকে। ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে Adobe Photoshop, GIMP, HTML, CSS, JavaScript ইত্যাদি জানতে হবে। ওয়েব ডিজাইনারদের কে আমরা Front-end ডেভেলপারও বলতে পারি। আবার একজন ওয়েব ডিজাইনার যা ডিজাইন করেন, তার প্রতিটি পেইজকে সঙ্গীন ফাংশনাল এবং গতিশীল করাই হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। মূলত ডিজাইন বা টেমপ্লেট, কনটেন্ট এবং ডেটাবেসের মধ্যে সমন্বয় করে পুরো সিস্টেমকে সরিল্য নিয়ন্ত্রণ, সিকিউরিটি ওয়েবসাইটের সকল ফিচার ফাংশনাল করা, ইউজার এবং করে তোলাই হল ওয়েব ডেভেলপারের কাজ। এছাড়াও ডাটা প্রসেসিং এডমিনের ক্ষমতা নির্ধারণ ইত্যাদি এডভান্স কাজগুলো একজন ওয়েব ডেভেলপার JQUERY, BOOTSTARP এ বেশ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হয়।

মার্কেটপ্লেসে এরকম আরো কিছু কাজ হচ্ছে WordPress, Website Builders & CMS, Game Development, Development for Streamers, User Testing. Web Programming, E-Commerce Development, Mobile Apps Desktop Applications, Cyber Security & Data Protection, Chatbots, Online Coding Lessons, Support & IT ইত্যাদি। এধরণের কাজগুলো একটু জঠিল এবং এডভান্স লেভেলের।

এবার আসা যাক, একজন ওয়েব ডিজাইনার ও ডেভেলপারের মার্কেটপ্লেসে চাহিদা কেমন? বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন Fiverr, upwork, freelancer এ প্রায় ৭০ থেকে ৮০% কাজ এ সেক্টরের, চাহিদাও তুঙ্গে। এটি এমন একটি সেক্টর যা অন্যান্য সেক্টরের ফ্রিল্যান্সাদেরও কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে লগো, ইমেজ এডিটিং, ভিডিও, ইন্ট্রো, আউট্রো ইত্যাদি কাজগুলো অন্যান্য সেক্টরের ফ্রিল্যান্সার দিয়ে করিয়ে থাকে। আবার সেই ওয়েবসাইট এসইও করার জন্য একজন এসইও স্প্যাশালিস্ট এর প্রয়োজন পড়ে। এভাবে মূলত একজন বায়ারের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গিয়ে মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পদের ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজন হয়। অর্ডার তৈরি হয়। ভালো এবং প্রফেশনাল লেভেলের কাজ পারলে এ সেক্টরে মাসে কমপক্ষে হাজার ডলারের চেয়েও বেশি ইনকাম করা যায়। একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনার হতে আপনার কমপক্ষে ২/১ বছর এবং ডেভেলপার হতে ৩/৪+ বছর সময় লাগতে পারে। তবে সময়টা কম বেশি হতে পারে । আপনি এ সেক্টরে কতটুকু আগ্রহ সহকারে কাজ শিখছেন তার উপর নির্ভর করবে।

Digital Marketing: অনলাইনে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাই হল ডিজিটাল মার্কেটিং। আবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন রেডিও, টিভি, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, পত্র-পত্রিকা, ব্যানার ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সাধন করাটাও ডিজিটাল মার্কেটিং। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ছোট বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সার্ভিসের প্রচার প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে বেশ ঝুকে আছে। মার্কেটপ্লেসে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো সার্ভিস এবং বায়ারকে সন্তুষ্টজনক কাজ করে দিতে পারলে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫০০ ডলারের উপর উপার্জন করা যায় । ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার ৫-৬ মাস সময় লাগতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে কম বেশি হতে পারে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে এবং প্রতিটি ক্যাটাগরির কাজের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন। যেমন:

1.SEO (Search Engine Optimization)
2.SMM (Social Media Marketing)
3.E-Commerce Product Marketing
4.SEM (Search Engine Marketing)
5.Affiliate Marketing
6.Email Marketing
7.CPA Market

Graphic Design:
মানুষের কল্পনা বা চিন্তা শক্তি, তথ্য, মেসেজকে রং, রেখা, সেপ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরাই হল গ্রাফিক ডিজাইন। আমাদের দেশে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য জনপ্রিয় একটি সেক্টর। অন্যসব সেক্টর থেকে এ সেক্টরে সহজে কাজ শেখা যায় এবং মার্কেটপ্লেসে সহজে কাজও পাওয়া যায়। এ সেক্টরে কাজ করতে হলে আপনাকে Adobe Photoshop, Adobe illustrator, Adobe indesign ইত্যাদি software গুলোতে বেশ পারদর্শী ও দক্ষ হতে হবে। মার্কেটপ্লেসে এ সেক্টরে বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী কাজগুলো হল logo design, business card design, website template design, banner design, book cover design, pattern design, flyer design, app design, social media design, icon design, t-shirt design, resume design, vector tracing ইত্যাদি।

ইংরেজি দক্ষতা এবং সৃজনশীলতা থাকলে এ সেক্টরে অনলাইন অফলাইন উত্তর ক্ষেত্রে ভালো উপার্জন করা যায়। অন্যসব সেক্টরের মত এ সেক্টরে কোন পুি যার প্রভাব ফ্রিল্যান্সিং এ সকল সেক্টরে রয়েছে। তবে এ সেক্টরের বড় একটি বিদ্যা নেই, সৃজনশীলতাই হল এ সেক্টরের মূল হাতিয়ার। এটি এমন একটি সঠিক ব্যবহার সবাই জানলেও সৃজনশীলতা দিয়ে নিত্য-নতুন ডিজাইন বায়ারকে সমস্যা হলো মাত্র অল্প সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর বিভিন্ন সফটওয়্যারগুলোর করার সক্ষমতা রাখে, তারাই মার্কেটপ্লেসে খুব ভালো অবস্থানে থাকে। সুতরাং, দিতে না পারার ফলে বেশিরভাগই ঝরে পড়ে। যারা কেবল ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনা এ সেক্টরে আসার আগে ভালো করে নিজেকে যাচাই করে দেখুন আপনার
সৃজনশীলতা রয়েছে কিনা ।

Video & Animation: এনিমেটেড (Animated) শব্দের অর্থ হলো প্রাণবন্ত ব জীবন্ত। কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন লেখা, ছবি, নকশা ইত্যাদি স্থির বস্তুরে বিভিন্নভাবে গতিশীল করার কৌশলকে এনিমেশন বলা হয়। আমরা টিভিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দেখে থাকি যার অধিকাংশই এনিমেটেড। একটি পণ্যের প্রচার প্রসারের জন্য আকর্ষণীয় একটি বিজ্ঞাপনের কোন বিকল্প নেই। তাই সে বিজ্ঞাপন তৈরিতে বায়ার সৃজনশীল, দক্ষ এবং নিপুণ হাতের একজন ফ্রিল্যান্সারকেই অর্ডার দিয়ে থাকে। আবার ভিডিও এডিটিং এর কাজও সমান চাহিদাসম্পন্ন । এ সেক্টরে কাজ করতে Adobe Premiere, Adobe After effects এবং ভিডিও এডিটিং অন্যান্য সফটওয়্যারগুলোতে পারদর্শী হতে হবে। কাজ শিখে অভিজ্ঞ ও পারদর্শী হয়ে উঠতে বছর খানেক সময় লাগতে পারে। মার্কেটপ্লেসে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ সেক্টরে একজন ফ্রিল্যান্সারের উপার্জন মাসে হাজার ডলারের উপর।

Writing & Translation: অনলাইনে এমন কিছু কাজ রয়েছে যেসব সেক্টরে কোন রকম দক্ষতা কিংবা পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও সহজে কাজ করে উপার্জন করা যায়। যেমন ট্রান্সলেশন, ওয়েবসাইট টেস্টিং/ইউজাবিলিটি টেস্টিং, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, এলবাম কাভার সেলিং ইত্যাদি। ফাইভার মার্কেটপ্লেসের এমন একটি সেক্টর হল Writing & Translation । এ সেক্টরে কাজ করার মূল হাতিয়ার হল সৃজনশীলতা আর ইংরেজি দক্ষতা। আপনি যদি কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী হন, তবে বিভিন্ন ডকুমেন্ট ট্রান্সলেট করেও উপার্জন করতে পারেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post
This Template Designed By e10Script