ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ডেঙ্গু প্রতিরোধ শিশুদের ডেঙ্গু

 

ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা ডেঙ্গু প্রতিরোধ শিশুদের ডেঙ্গু

আমরা হয়তো অনেকেই জানি ডেঙ্গু জ্বর একটি অত্যন্ত সাধারণ ভেক্টর-বাহিত ভাইরাসঘটিত রোগ।তবে ক্ষেত্র বিশেষে এই ডেংঙ্গুজ্বর হয়ে উঠে মহামারি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গরু প্রকোপ দেখা যায়।তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বাংলাদেশে ও ডেংঙ্গুজ্বর আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে ।ইতিপূর্বে ডেঙ্গুসংক্রমণের হার মার্চ থেকে জনু পর্যন্ত সর্বোচ্চ হলেও বর্তমান সময়ে সারা বছর ব্যাপি ডেংঙ্গুসংক্রমন হচ্ছে। এবং সংক্রমন ও মৃত্যুর হার ক্রমাগত বেড়ে চলেছে।


পোস্ট এর সূচিঃ 

 
● ডেঙ্গু হলে কী করব ো?
● ডেঙ্গু হলে অবহে লা নয়
● ডেঙ্গু মানে ই আতঙ্ক নয়
● ডেঙ্গু হলে কি খাবো?
● ডেঙ্গু মানে ই হাস্পাতালে ভর্তি নয়
● ডেঙ্গু রোগী কত দিনে সুস্থ হয়
● ডেঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গ
● সর্বশেষ কথাঃ 

ডেঙ্গু হলে কী করবো ?

ডেঙ্গু সনাক্তের পর বাড়ি তে পরি পূর্ণ বি শ্রামে থাকতে হবে সে ই সাথে প্রচুর তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে যে মনঃ ডাবে র পানি , লে বরু শরবত, ফলে র জসু এবং খাবার স্যালাইন পান করতে হবে একটুপরপর।তে ল যুক্ত ও মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না।সহজে হজম হয় না এমন খাবার খাওয়া থে কে বি রত থাকতে হবে ।চি কি ৎসকে র পরামর্শ অনযুায়ী ডে ঙ্গুজ্বর হলে প্যারাসি টামল খাওয়া যাবে । স্বাভাবি ক ওজনে র একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি প্রতি দি ন সর্ব োচ্চ আটটি প্যারাসি টামল খে তে পারবে ।সে বনে র আগে অবশ্যই চি কি ৎসকে র পরামর্শ নি তে হবে ।ডে ঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে গায়ে ব্যথার জন্য অ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক, আইবপ্রুপ্রোফে ন–জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ডে ঙ্গরু সময় এ–জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে রক্তক্ষরণ হতে পারে ।

ডেঙ্গু হলে অবহেলা নয়

ডেঙ্গু হলে কখনোই অবহেলা করা যাবে না। রোগী যদি বেশি দর্বুর্বল ও পানি শনূ্য হয়ে পড়লে বা শরীরে র ক োথাও রক্তবি ন্দরু মতো দাগ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, নাক বা মাড়ি থে কে রক্ত পড়ার মতো যেকোনো  লক্ষণে দে রি না দ্রুততার সাথে হাসপাতালে নি তে হবে । ডেঙ্গুর রোগীর পে টব্যথা বা ডায়রি য়া হলে সঙ্গে সঙ্গে ই হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। প্রথম বার ডে ঙ্গতেুতে আক্রান্তদে র তুলনায় দ্বি তীয়বার আক্রান্তরা বে শি ঝুঁকি তে থাকে ন। তাই সঙ্গে সঙ্গে ই তাদে র হাসপাতালে ভর্তি করি য়ে চিকিৎসা দেয়া উচিত।

ডেঙ্গু মানে ই আতঙ্ক নয়

খুবই অল্প সংখ্যক  রোগীর ক্ষে ত্রে বি শে ষ করে প্রথম বার আক্রান্তদে র ক্ষে ত্রে ডে ঙ্গুজ্বর জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে । অনেক  রোগীর প্রবল জ্বর হয় এবং এক থেকে দইু দিন স্থায়ী হয়।
সাধারণত ডে ঙ্গুভাইরাসে আক্রান্ত র রোগীর ৮০ শতাংশ উপসর্গবির্গবিহীন থাকে ন অথবা সাধারণ জ্বরে র মতো সামান্য উপসর্গ থাকে ।এক্ষে ত্রে বে শি র ভাগ  রোগী বাড়ি তে বসে চি কি ৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেন । ৫ শতাংশ রোগীর রোগ জটিল হতে পারে এবং খুবই কম ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হয়।

ডেঙ্গু হলে কি খাবো?

ডেঙ্গু জ্বর হলে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি পরি মানে খে তে হবে। যেমনঃ লেবু,কমলা ,মাল্টা ইত্যাদি । তবে বর্তমানে কমলা ও মাল্টার দাম বে শি হওয়াতে লে বুখাওয়া উত্তম। সে ই সাথে ডাবে র পানি ,স্যালাইন খে তে হবে ।বি ভি ন্ন শাক সবজি ,তরল জাতীয় খাবার যা সহজে হজম হয় এবং কম তে ল ও কম মসলা যুক্ত খবার খেতে হবে । প্রচুর পানি পান করতে হবে ।

ডেঙ্গু মানে ই হাস্পাতালে ভর্তি নয়

ডেঙ্গু হলে ই যে আপনাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে ক োন কথা নে ই।ক্লাসি কাল ডেঙ্গু রোগী রা সাধারণত বাসায় থে কে ই সে রে ওঠে । তবে হে ম োরজি ক ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাধারণত ৮০% ডেঙ্গু রোগী বাসায় চি কি ৎসা করে ও ডাক্তারের ফল ফলোআপে থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে ন।খুব রোগীর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।বিভিন্ন লক্ষন দেখে বোঝা যায় কখন র রোগীকে হাসপাতাল নি তে হবে ।যে মনঃপে টে ব্যাথা,ঘন ঘন বমি ,পাতলা পায়খানা,রক্ত পাত ইত্যাদি লক্ষণ কোন রোগীর থাক্লে তাকে দ্রুত হাসপাতাল নি তে হবে ।

ডেঙ্গু রোগী কত দিনে সুস্থ হয়

ক্লাসি কাল ডেঙ্গু সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পর্ণূর্ণ ভালো হয়ে যায়। সর্ব োচ্চ ১০ দি ন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে । তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে জ্বর সেরে গেলে ও শারিরীক দর্বুর্বলতা থেকে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যার রক্তে প্লাটিলে টে র পরি মান বার বার কমে যায়।এক্ষেত্রে রোগী কে সুস্থ হতে বে সশি সময় লাগে ।

ডেংঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গ

একজন ডেংঙ্গু রোগির প্রাথমিক লক্ষন গুলো হল জ্বর, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখে বিশেষত চোখের পেছনের দিকে ব্যথা, মাংসপেশি, হাড় এবং অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ইত্যাদি । তবে ডেংঙ্গুর ৩ টি প্রধান লক্ষণ জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ছোপ ছোপ দাগ। এসব লক্ষণ সাধারণত দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। বেশির ভাগ রোগীই এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। কিছু রোগীকে পরিস্থিতি বিবেচনায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। ডেঙ্গুর ভয়ানক বিপদচিহ্নগুলো হলো তীব্র পেটব্যথা, দিনে তিনবারের বেশি বমি হওয়া, কিছু খেতে না পারা, নাক ও দাঁতের গোড়া থেকে রক্তক্ষরণ, বমি কিংবা পায়খানার সঙ্গে রক্তক্ষরণ, শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড দুর্বলতা, অস্থিরতা কিংবা খিটখিটে ভাব, হঠাৎ করে আচরণগত পরিবর্তন, অসংলগ্ন কথাবার্তা, তাপমাত্রায় বিশাল তারতম্য। জ্বর থেকে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে যাওয়া, চার-ছয় ঘণ্টা ধরে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া অথবা না হওয়া, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, রক্তের হেমাটোক্রিট ২০ শতাংশ কমে যাওয়া এবং লিভার বড় হয়ে যাওয়া। এসব লক্ষন দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। জরুরী এম্বুল্যান্সের নাম্বার পেতে এখানে ক্লিক করুন

সর্বশেষ কথাঃ

আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনাদের কথা মাথায় রেখে লিখা হয়েছে যাতে করে আপনারা উপকৃত হতে পারেন। আশা করি লিখাটি দ্বারা আপনারা উপকৃত হয়েছেন এবং লিখাটি আপনাদের ভাল

ডেঙ্গু জ্বরের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা, ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

Post a Comment

Previous Post Next Post
This Template Designed By e10Script